বিডিও র সহযোগিতায় দ্রুত হাতে এলো স্বাস্থ‍্য সাথীর কার্ড : চিকিৎসা নিয়ে চিন্তা ঘুচলো

9th January 2021 9:58 am বাঁকুড়া
বিডিও র সহযোগিতায় দ্রুত হাতে এলো স্বাস্থ‍্য সাথীর কার্ড : চিকিৎসা নিয়ে চিন্তা ঘুচলো


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  কি করে ব্রেণ টিউমারের অপারেশন হবে, কি ভাবে ভেলোরে গিয়ে করাবেন চিকিৎসা তা ভেবেই কুল পাচ্ছিলেন না  সারেঙ্গার কুসুমটিকরী গ্রামের রামবিষ্ণু বাবু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। উল্লেখ্য কিছু দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন এবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ভেলোরে গিয়ে মিলবে চিকিৎসার সুযোগ। তবে জটিল এই সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে এলেন সারেঙ্গা ব্লকের বিডিও ফাহিম আলম। ১৫ ঘন্টারও কম সময়ে ওই ব্রেণ টিউমারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত সারেঙ্গা ব্লকের কুসুমটিকরী গ্রামের বাসিন্দা রামবিষ্ণু পন্ডা নামে ওই ব্যক্তির হাতে তুলে দুলেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড।  আর কার্ড পেয়ে তিনি যেন ফিরে পেলে জীবনকে নতুন করে দেখার আশা। তবে এই কাজে কুসুমটিকরী গ্রামের রামবিষ্ণু বাবুকে সাহায্য করেছেন পাশের গ্রামের বাসিন্দা, তথা জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি তারাশংকর মহাপাত্র। রামবিষ্ণু বাবুর সমস্যার কথা জানতে পেরে তাঁকে নিয়ে সারেঙ্গা বিডিও সাহেবের কাছে যান তারাশংকর বাবু। সারেঙ্গা বিডিও কে জানান সমস্যার কথা। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে সমস্যার কথা শুনে ও  দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেন সারেঙ্গার বিডিও ফাহিম আলম । খাতড়া মহকুমা শাসকের দফতরে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরী করে তার হাতে তুলে দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য কার্ড হাতে পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রামবিষ্ণু বাবু।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।